বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুবার্ষিকী আর কিছু কথা
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে
সংগ্রাম এবং আন্দোলন করার জন্নে দক্ষিন আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নেতা নেলসন ম্যান্দেলার
কথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করে ৩৪ বছর জেলখানায়
জীবন অতিবাহিত করা ময়মনসিংহের ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীকে (মহারাজ চক্রবর্তী) কে স্বাধীন ভারতের বর্তমান প্রজন্ম আজ
চেনেই না।
অথচও
অখণ্ড ভারতে ব্রিটিশবিরোধী যে সশস্ত্র সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছিলো, যার অবিরাম
ধারাবাহিকতায় আজ ভারতমাতা স্বাধীন, সেই সব অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের মধ্যে ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ছিলেন
অন্যতম। এই মহান বিপ্লবীর একমাত্র লক্ষ্য ছিল পরাধীনতার শেকল ছিঁড়ে দেশমাতৃকাকে
মুক্ত করার, আজীবন এই বিপ্লবী ভাবধারাতেই উদ্ভুদ্ধ ছিলেন তিনি। ক্ষমতালাভ বা কোনো
প্রকার ব্যক্তি স্বার্থের ধ্যান-ধারণা তার
মধ্যে ছিল না। আদর্শের
রাজনীতি বাস্তবায়নের জন্য কীভাবে লড়াই করতে হয় তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। মানুষের জন্য, দেশের জন্য জীবনব্যাপী দু:সহনীয় অত্যাচার
সহ্য করে তিনি নিজেকে কখনো সফল বিপ্লবী হিসাবে দাড় করানোর চেষ্ঠা করেননি।
বরং তিনি প্রায়ই বলতেন, “আমার স্বপ্ন সফল হয় নাই, আমি সফলকাম বিপ্লবী নই। আমার ব্যর্থতার কারণ, আমার দুর্বলতা নয়। আমি কখনও ভীরু ছিলাম না, আমার জীবনে কখনও দুর্বলতা দেখাই নাই। আমি আমার চরিত্র নির্মল ও
পবিত্র রাখতে সক্ষম হইয়াছি। অর্থলোভ আমার ছিল না। এক সময় হাজার টাকা আমার কাছে
আসিয়াছে, কিন্তু সে টাকা নিজের ভোগ-বিলাসের জন্য ব্যয় করি নাই। মৃত্যুভয় আমার ছিল না, যে কোনো বিপদজনক কাজে হাত দিতে আমি পশ্চাৎপদ হই নাই। আমার স্বাস্থ্য ভাল ছিল
ছিল, আমি কখনও অলস ছিলাম না, কঠিন
পরিশ্রমের কাজে কখনও ভীত হই নাই, যখন যে কাজ করিয়াছি, আন্তরিকতার সাথে করিয়াছি।
আমার ব্যর্থতার কারণ পারিপার্শ্বিক অবস্থা, আমার
ব্যর্থতার কারণ একজন দক্ষ ও সফলকাম বিপ্লবীর যতটা ধীশক্তি ও জন-গণ-মন অধিনায়কতার
যে ব্যক্তিত্ব থাকা আবশ্যক তাহার অভাব”।
বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ
চক্রবর্তী জন্মেছিলেন ১৮৮৯ সালের মে মাসে। ময়মনসিংহ জেলার কাপাসাটিয়ায় এক
মধ্যবিত্ত পরিবারে। ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর পিতার নাম ছিল দূর্গাচরণ চক্রবর্তী, উনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী ধারার
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ। পরবর্তীকালে তিনিই ছেলে ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীকে স্বদেশী রাজনীতির সাথে যুক্ত
করে দেন। এই বিষয়ে
উল্লেখ ১৯০৫ সালে
তার বাবা ত্রৈলোক্যনাথকে দেশী সাদা মোটা কাপড় কিনে
পাঠান। যাতে করে ছেলে বিদেশী পোশাক বর্জন করে ওই কাপড় পরিধান করে সে জন্য একটি
আর্শিবাদ পত্র পাঠান। তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে মনে-প্রাণে দেশ প্রেমিক হোক,
স্বদেশী হোক। দেশমাতৃকার সেবা করার জন্য পিতার সেই আর্শিবাদ বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী মাথায় পেতে নিলেন।
ত্রৈলোক্যনাথ
চক্রবর্তী পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। তারপর
প্রাথমিক পড়াশুনা শেষে ১৯০৩ সালে তাকে মালদাহ জেলার সানসাটের পুখুরিয়া মাইনর
স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়।
ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী স্কুলে জীবনে খুব ভাল ছাত্র ছিলেন।
শিক্ষকরা তাকে নিয়ে গর্ব করতেন। এই মাইনর স্কুল থেকে ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী বৃত্তি
দেওয়ার কথা ছিল। তিনি বৃত্তি পাবেন শিক্ষকরাও এ আশা করেছিলেন। কিন্তু পারিবারিক
কারণে তাকে ওই স্কুল ছেড়ে চলে আসতে হয়। ওই স্কুলে পড়াশুনাকালে তিনি‘অনুশীলন সমিতির সংস্পর্শে আসেন। এরপর তিনি
ময়মনসিংহ জিলা হাইস্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুলে তিনি একবছর পড়েছিলেন। সেখানেও তিনি
ভাল ছাত্র হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯০৬ সালে তিনি ‘অনুশীলন সমিতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। বিপ্লবী
দলে যুক্ত হয়ে একনিষ্টভাবে দলের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যান।
তারপর তিনি
সাটিরপাড়া হাইস্কুলে ভর্তি হন। এখানে তিনি পড়াশুনায় মনোযোগ দেয়ার জন্য স্কুল বোর্ডিঙে উঠলেন। এই স্কুলের শিক্ষকরাও আশা
করেছিলেন তিনি স্কলারশিপ পাবেন এবং সে জন্য শিক্ষকরা ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী কম করে হলে
প্রতিদিন ৩ ঘন্টা পড়াশুনা করার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী মন পড়ে
থাকতো দেশের স্বাধীনা অর্জনের লক্ষ্যে। সারাক্ষণ যুক্ত থাকতেন সশস্ত্র বিপ্লববাদী
দলের কাজে। পাঠ্যবই না পড়লেও তিনি রাজনৈতিক পড়াশুনায় ছিলেন অবিরত। বিপ্লববাদী দলের ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠা করে সহপাঠীদের
নিয়ে নিয়মিত শরীর চর্চা ও দেশমাতৃকার সাধীনতার জন্য পাঠচক্র করতেন। নিজ জেলায় ক্ষুদেবিপ্লবী ঘাঁটি তৈরি করেন। ম্যাট্রিক
পরীক্ষার ২ মাস আগে ১৯০৮ সালে তিনি বিপ্লবী দলের কাজে
নারায়নগঞ্জে আসেন। এসময় ব্রিটিশ পুলিশ বিপ্লবাত্মক কাজের জন্যতাকে গ্রেফতার করে ৬ মাসের জেল দেয়। ওখানেই তার
প্রথাগত শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। শুরু হয় এক নতুন জীবন। সে সময় তিনি ছয় মাস কারাভোগ করেন। মুক্তি
পেয়ে ১৯০৯ সালে তিনি ঢাকায় আসেন।
ঢাকা আসার
পর তার বিরুদ্ধে ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। শুরু হয় তার বিরুদ্ধে
গ্রেফতারী অভিযান। এ মামলায় তিনি ছিলেন অন্যতম আসামী। পুলিশ হন্যে হয়ে তাঁর সন্ধান শুরু করে। ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ঢাকার বিপ্লবীদের সাথে পরামর্শ করে আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপন
অবস্থায় তিনি আগরতলার উদয়পুর পাহাড় অঞ্চলে চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি বিপ্লববাদী দলের
একটি শাখা স্থাপন করেন। দুই বছরের মধ্যে তিনি উদয়পুর পাহাড় অঞ্চলে বিপ্লবীদের একটি বিশাল ঘাঁটি তৈরি করেন। এই অঞ্চলের বিপ্লবী
দলের তিনি সম্পাদক ছিলেন। তার কাজ ছিল শরীর চর্চা, ব্যায়াম, লাঠি খেলা, ছোঁড়া খেলা, কুস্তি ইত্যাদির আড়ালে রাজনৈতিক শিক্ষা, বিপ্লবাত্মক
প্রচার ও বিপ্লবী কর্মী তৈরী করা। উদ্দেশ্য ভারতমাতাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা।
১৯১২ সালে
ওখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার
বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই হত্যা মামলা থেকে প্রমাণের অভাবে ব্রিটিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এরপর তিনি
স্থান পরিবর্তন করে মালদহ যান। সেখানে তিনি বিপ্লবী দল গড়ে তোলার জন্য কাজ করেন।
এখানে এই দলের একটি শক্তিশালী শাখা গঠন করার পর ১৯১৩-১৯১৪
সালে তিনি রাজশাহী ও কুমিল্লায় ঘুরে গুপ্ত বিপ্লবী দলের ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই গুপ্ত সমিতি বা বিপ্লবী দল প্রতিষ্ঠা করতে তাকে
দলের সিনিয়ররা সহযোগিতা করতেন। বিপ্লবী শতীশ পাকড়াশী ছিলেন তার স্কুল জীবনের
সহপাঠী। তাদের স্কুলের প্রায় অর্ধেক ছাত্র অনুশীলন সমিতির সভ্য, এই সময় তিনি ঢাকার শ্রী সংঘের সদস্য
হন। এই শ্রী
সংঘের সদস্য হিসেবে কোলকাতা, বাকুড়া, ও বীরভূমের বিভিন্ন অঞ্চলে
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান।
১৯১৪
সালে তিনি কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হন, সেই সময় প্রাই ৯মাস তিনি কলকাতা জেলে বন্দি
ছিলেন পরবর্তী কালে তাঁকে আন্দামান জেলে পাঠানো হয়। সেই সময় সুরকী দিয়ে জেলের
কুঠুরিতে লিখে যান এক অনিন্দ্য সুন্দর কবিতা –
“বিদায় দে মা প্রফুল্ল মনে যাই আমি আন্দামানে,
এই প্রার্থনা করি মাগো মনে যেন রেখ সন্তানে।
আবার আসিব ভারত-জননী মাতিব সেবায়,
তোমার বন্ধন মোচনে মাগো এ প্রাণ যেন যায়।
বিদায় ভারতবাসী, বিদায় বন্ধু বান্ধবগণ
বিদায় পুষ্প-তরুলতা, বিদায় পশু পাখীগণ।
ক্ষমো সবে যত করেছি অপরাধ জ্ঞানে অজ্ঞানে,
বিদায় দে মা প্রফুল্ল মনে যাই আমি আন্দামানে।
এই প্রার্থনা করি মাগো মনে যেন রেখ সন্তানে।
আবার আসিব ভারত-জননী মাতিব সেবায়,
তোমার বন্ধন মোচনে মাগো এ প্রাণ যেন যায়।
বিদায় ভারতবাসী, বিদায় বন্ধু বান্ধবগণ
বিদায় পুষ্প-তরুলতা, বিদায় পশু পাখীগণ।
ক্ষমো সবে যত করেছি অপরাধ জ্ঞানে অজ্ঞানে,
বিদায় দে মা প্রফুল্ল মনে যাই আমি আন্দামানে।
১৯২৪
সালে আন্দামান সেলুলার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের পরামর্শে
দক্ষিণ কলকাতা জাতীয় বিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি এই স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতেন। একই
সাথে বিপ্লবী দলের নেতা ও সংগঠক হিসেবে ভারতে বিভিন্ন এলাকায় বিপ্লবী কর্মকান্ঢ
পরিচালনা করেন। মাত্র তিন বছর যেতে না যেতে ১৯২৭ সালে আবার গ্রেপ্তার হয়ে
বার্মার মান্দালয় জেলে প্রেরিত হন। ১৯২৮ সালে তাঁকে ভারতে এনে নোয়াখালী হাতিয়া
দ্বীপে অন্তরীণ করে রাখা হয়। ঐ বছরই মুক্তি পেয়ে উত্তর ভারতে যান এবং চন্দ্রশেখর
আজাদ প্রমুখের সংগে হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মিতে যোগ দেন। পরে বিপ্লবী দলের
আদেশে বার্মার বিপ্লবীদের সংগে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে বার্মায় যান। ১৯২৯ সালে তিনি
লাহোর কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৩০ সালে আবার গ্রেপ্তার হন, পরে ১৯৩৮ সালে মুক্তি পান।
ওই বছর তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে রামগড় কংগ্রেসের কাজে যুক্ত
হন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় তিনি ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘটানোর
চেষ্টা করেন। ১৯৪২ সালে তিনি 'ভারত-ছাড়' আন্দোলনে যোগ দিয়ে গ্রেফতার হন। ১৯৪৬ সালে মুক্তি পেয়ে নোয়াখালীতে সংগঠন গড়ার
চেষ্টা করেন, পরে ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তানের
নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর তিনি পূর্ব পাকিস্থানের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে
অংশগ্রহণ করেন।
১৯৫৪
সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের সদস্য
নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারী ও শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তিনি
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। সামরিক শাসন জারীর পর সামরিক সরকার তাঁর নির্বাচন বাতিল, রাজনৈতিক এমনকি সামাজিক কার্যকলাপেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরপর ত্রৈলোক্যনাথ
চক্রবর্তী নিজ গ্রাম ময়মনসিংহের কাপাসাটিয়ায় চলে যান এবং সেখানে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সেখানেই
প্রকৃতপক্ষে নির্জনবাস করেন।
ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় আসে দেশ বিভাগের সময়। সে সময় অনেক
হিন্দু পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়। ত্রৈলোক্যনাথ
চক্রবর্তী এ কাজটি
করেননি; বরং হিন্দুরা যেন
দেশত্যাগ না করে, সে বিষয়ে
জেলায় জেলায় গিয়ে প্রচারণা চালান। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান সরকার তাঁর এই রাজনৈতিক
কর্মকাণ্ড ভালো চোখে দেখেনি। সন্দেহ থেকে তাঁর চিঠিপত্র পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করে।
তাঁর লেখা “জেলে ত্রিশ বছর ও পাক-ভারত স্বাধীনতা সংগ্রাম” বইটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় দেশপ্রেমিক এই মানুষটিকে পাকিস্তান সরকার দুই বছরের
জন্য কারারুদ্ধ করে রাখে। সে সময় এই মহান বিপ্লবীর
ব্যাপক স্বাস্থ্যহানি ঘটে। কারা কর্তৃপক্ষ কারাগারে ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুর
আশঙ্কা করে কিছুটা ভীত হয়ে পড়ে। দায় এড়াতে তড়িঘড়ি মুক্তি দেয় নেতাকে। উন্নত
চিকিৎসার জন্য অনুসারীরা নেতাকে ভারতে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু সরকারের দিক থেকে
অনুমতি মেলেনি। বহু আবেদন আর জনতার চাপ, সর্বোপরি ভারত
সরকারের আগ্রহের কারণে ১৯৭০ সালের মে মাসে তিন মাসের জন্য তাঁর পাসপোর্ট মঞ্জুর
করে সরকার। খুব সম্ভবত ১৯৭০ সালের ২৪ জুন ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতবর্ষ তাকে
সাদরে গ্রহণ করে, কিন্তু তিনি আর ফিরে আসতে পারেন নি মাতৃভূমিতে। ভারতে যাওয়ার পর
ওই বছর ৯ আগষ্ট বিপ্লবী চিরকুমার মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী মারা যান। পিছনে
রেখে যান বর্ণময় সংগ্রামের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস।
(তথ্য সুত্র – বিভিন্ন পত্র
পত্রিকা, সর্বোপরি গুগুল। যদি তথ্যসমুহে কোন ত্রুটি থেকে যায় পাঠক নিজগুণে ক্ষমা
করে দেবেন। আমার উদ্দেশ্য একজন বিসৃত মহান বিপ্লবীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বর্তমান
যুবসমাজকে অবহিত করা)
No comments:
Post a Comment