Monday 27 February 2017

এই দেশ এই সময়

এই দেশ এই সময়

মরশুম কি শুদু ঋতুর হয়? না বোধহয়? অন্ততও খবরের কাগজের পাতা ওলটালে এই মরশুম বৈচিত্র্য বিলকুল মালুম হয়। 

এই ধরুন না কিছুদিন আগে অবধি ছিল ভোট ঋতুর মরশুম এখন আবার বেসরকারি হাসপাতালের নানা রকম অনিয়মের কিসসা। না সংবাদপত্র গুলিকে দোষ দিয়ে লাভ নাই, ওনারা গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী মাত্র, ওনাদের মহৎ দায়িত্তের মধ্যে পরে জনগন কে বুদ্ধু থুড়ি অবহিত করার, যে মরশুমে যে খবর জনগন বেশি খাবে তা পরিবেশনের গুরু দায়িত্ব তো তাঁদেরই উপর। পরে অবশ্য আবার অন্য কোনও মুখরোচক খবর পেলে তাতে হামলে পরা, আগের খবর ঠাই পায় পুরানো বাতিল খবরের কাগজের বাণ্ডিলে, এটাই সংবাদপত্র জগতের নিষ্ঠুর সত্য মাত্র (তবু যে কেন পেড নিউজের অভিযোগ, দলগত বাধ্যবাধকতার কিংবা নিছক মুনাফাবাজির জন্যে অর্ধসত্য খবর প্রকাশের অভিযোগ ওঠে হেঁড়ে মাথায় বুঝতে পারি না)। যাক বেশি ভেবে লাভ নেই, আমি আম আদমির দলে পরি, অত ভেবে শ্রেণি শত্রু হয়ে লাভ নেই। তবু নিরেট মাথায় যে প্রশ্ন গুলো উঠলো তাঁর কিছু ঝলক লিখলাম মাত্র।  

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ও কিছু প্রশ্ন?

কিছু দিন আগে একটি বহুল প্রচলিত নিউজ পেপারে দেখলাম, উত্তরপ্রদেশ ইলেকশন ওয়াচ ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের করা বিশ্লেষণ অনুযায়ী -

• ১০৭জন অর্থাৎ ১৫ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা ঝুলছে।
• এঁদের মধ্যে ৮৪জনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা ঝুলছে।
• ভারতীয় জনতা পার্টির ১৬জন, বহুজন সমাজ পার্টির ২৫জন, সমাজবাদী পার্টির ২১জন, কংগ্রেসের ১৮জন এবং ২০৬জন নির্দল প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা হলফনামাতে উল্লেখ করেছেন।
• ২৫৬জন প্রার্থীই কোটিপতি বলে হফলনামাতে নিজেদের সম্পত্তি ঘোষণা করে জানিয়েছেন।
• মায়াবতীর বিএসপি দলের ৫৮জন, বিজেপির ৫০জন, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির ৪৫জন, কংগ্রেসের ১৮জন প্রার্থী কোটিপতি।
• তিনজন প্রার্থী জানিয়েছেন তাঁদের নিজেদের সম্পত্তির পরিমাণ শূন্য।
• ১৭৪ জন প্রার্থী তাঁদের প্যান কার্ডের তথ্য দেননি।
• ২৭৭ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগত্যা পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মধ্যে। 
• ১১ জন প্রার্থী নিরক্ষর ও ৯৩ প্রার্থী জানিয়েছেন তাঁদের শুধু অক্ষর জ্ঞান রয়েছে।

পরিসংখ্যান দেখে শ্রী মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত শূল সিনেমাটির কথা মনে এলো। যে রাজ্যে রাজনৈতিক প্রার্থীদের মধ্যে এমন বিবিধ যোগ্যতার সমাবেশ সেই রাজ্যের নাম অবিলম্বে ‘উত্তম প্রদেশ’ রাখাই শ্রেয়। আশা করা যায় নির্বাচনী যুদ্ধে ব্যাস্ত রাজনৈতিক নেতা/ নেত্রীবৃন্দ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এই বিষয়ে কিছু আলোকপাত করবেন। এবারে আসি দ্বিতীয় মরশুম অর্থাৎ বেসরকারি হাসপাতালের বিবিধ অনিয়মের কিসসা ও আম আদমির ক্ষোভ ইত্যাদি।

কয়েকদিন আগেই একটি পেপারে দেখলাম -   ইঞ্জেকশনের একটি সিরিঞ্জ তৈরি করতে খরচ হয় মাত্র ২ টাকার মতো। অথচ, ভারতে তা কিনতে হয় তার অন্তত ১০ গুণ দামে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার থেকে বেশিও দিতে হয়। যদি এই সংখ্যা দেখে মনে হয় মাত্র ৮-১০ টাকা লাভ, তা হলে আরও একটি তথ্য দেওয়া যাক। দেশে গড়ে প্রতি বছর একশো কোটি সিরিঞ্জ বিক্রি হয়। এ বার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির লাভের পরিমাণ হিসেব করলে স্পষ্ট, অঙ্কটা ৮-১০ টাকায় আর আটকে নেই। ঠিক এই ভাবেই জনপ্রিয় হিপ ইমপ্ল্যান্টের আমদানি খরচ ৮,৯০৬ টাকা। অথচ রোগীদের থেকে নেওয়া হয় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। লাভের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার গুণ। না এখানেই শেষ নয়, গড়ে ভারতে একটি হাঁটুর রিপ্লেসমেন্ট নেওয়া হয় প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। অথচ, বিদেশ থেকে সেই সব রিপ্লেসমেন্ট আনা হয় মাত্র ৯,২৬৪ টাকায়। এবারে আসা যাক ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলির পুকুর চুরিতে - ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ একটা থাইরয়েড টেস্ট করতে খরচ হয় মাত্র ৩০- ৫০ টাকা, বাজারের দাম  ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, রক্তের সুগার টেস্ট করতে খরচ হয় মাত্র ৫ - ১০ টাকা, বাজারের দাম ৬০-  ১২০ টাকা , লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করতে খরচ হয় মাত্র ৪০- ৫০ টাকা, বাজারের দাম  ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। একবার ভেবে দেখুন মেক ইন ইন্ডিয়ার কি সফল ও কার্যকারী প্রয়োগ? জয় হোক ডিজিটাল ইন্ডিয়ার। শুদু কি বেসরকারি হসপিটাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার? পাড়ার মোড়ের ডাক্তার বাবুই বা কম যান কিসে? একটু বুকে ব্যাথা হল তো নিদান হল ইসিজি করতে হবে। কোথায় করাবো ডাক্তারবাবু? আরে আমি থাকতে চিন্তা কিসের? ফেলুন ১৫০-২০০ টাকা চটজলদি রিপোর্ট পাবেন। অথচও কাগজের খরচ, ইসিজি মেশিনের খরচ খরচা সব বাদ দিলেও ৭-৮ টাকার বেশি কি হবে?

না এতেই ক্ষান্ত দেন না ভগবানরুপী ডাক্তারবাবুরা এক্সরে, ইউএসজি, এমআরআই প্রভৃতি নানা রকমের টেস্ট তো আছেই, তাও আবার করাতে হবে পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। যাতে মোটা কমিশনটি মার না যায়। এতে যদি পেট না ভরে তাহলে নার্সিংহোম এর ICU/ ITU/ CCU এসব তো আছেই। 

কর্মসূত্রে নানা ধরনের পেশার মানুষের সাথে পরিচয়, একজন নামকরা কোম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্তিভ এর কাছে শুনে ছিলাম আজব এক কিসসা – শহরের নামি দামী ডাক্তারবাবুদের খাঁই আরও বেশি, কারো আবদার শহরের পাঁচতাঁরা হোটেলে যাবতীয় আমোদ প্রমোদের আয়োজন তো, কারো বছরে একবার সপরিবারে বিনা ব্যায়ে প্রমোদ ভ্রমন, এছাড়া ক্যাশ ও কাইন্ডের খেলা তো আছেই। 

দোষ দিয়ে লাভ নেই, এই সব রাজনৈতিক নেতা/ নেত্রীরাই বলুন বা স্বনামধন্য ডাক্তারবাবু দের, এঁরা কেউ তো গ্রহান্তরের বাসিন্দা নন আপনার আমার মতই জলজ্যান্ত মানুষ। আর আঙুল শুদু সমাজের এই শ্রেণীর মানুষের দিকে তুলে লাভ নেই, আজ এই সামগ্রিক দুর্নীতির সুনামিতে কারা বাদ পড়েছেন তা জানা নেই? আজ আমরা জানতে পারছি দেশের ৩০ শতাংশ উকিলের আইনের ডিগ্রি ভুয়ো, আর এই তথ্য পেশ করছেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রধান শ্রী মনন কুমার মিশ্র।

আজ সমাজের সর্বস্তরে যে সামগ্রিক অবক্ষয়ের সূচনা হয়েছে  তাঁর দায় আমরা এড়াই কিভাবে? আমরা কি ধোঁয়া তুলসী পাতা? না বোধহয়, বেশ কিছুদিন আগে একটি লেখায় পড়েছিলাম, রামকৃষ্ণ মিশনের একজন মহারাজকে কিছু দিন আগে প্রশ্ন করা হয় - "মহারাজ, এত মহাপুরুষ কিভাবে আগে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিতেন? আর বর্তমানে কেন আর সেই মহাপুরুষরা জন্মান না?" অসাধারণ উত্তরে মহারাজ বলেছিলেন - "আকাশে প্লেন ওড়ে, সে তো আর যেখানে সেখানে ইচ্ছামত নামতে পারে না! তার নামার জন্য উপযুক্ত এয়ারপোর্ট প্রয়োজন হয়! ঠিক সেই রকম এক সময় ছিল যখন এই ভারতবর্ষে উপযুক্ত 'মা' ছিল। এখন সেই এয়ারপোর্ট নেই, তাই বড় বড় প্লেন আর নামতে চাইলেও পারছে না"।

আধুনিক মনঃ বিজ্ঞানের মতে, সন্তান কেমন মানুষ হবে সেটা ৮৫% নির্ভর করে মা-এর উপর। আর তা নির্ধারণ হয়ে যায় মায়ের গর্ভে সন্তান আসা এবং জন্মের ৫ বছরের মধ্যে। মায়ের চিন্তা, কথা, ভালো লাগা- মন্দ লাগা, রুচি, আদর্শ, সন্তানের উপর দারুনভাবে প্রভাব ফেলতে থাকে গর্ভে থাকা অবস্থাতেই। মায়ের কষ্ট, তার কষ্ট। মায়ের আনন্দ, তার আনন্দ। মায়ের খাবার, তার খাবার। তাহলে মায়ের ইচ্ছা, তার ইচ্ছা হবে না কেন! মায়ের আদর্শ, তার আদর্শ, মায়ের জীবনবোধ, সন্তানের জীবন বোধ হবে।

হয়তো তাই ছোট্ট বিলে থেকে স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে উঠেছিলো তাঁর মা ভুবনেশ্বরী দেবীর আদর্শ শিক্ষায়। ছোট্ট নরেন একবার একটা অন্যায় করল, মা তাকে কোন কটু কথা না বলে, কোনও শাস্তি না দিয়ে, একটা কাগজে সেটি লিখে ঘরে টানিয়ে দিলেন। আবার কখনও দুরন্ত বিলের পড়ায় মন নেই, মা পড়ছেন, বিলে শুনছে আর সব আয়ত্ত হয়ে যাচ্ছে। মা শিক্ষা দিচ্ছেন - "বাবা, জীবনে যেটা সত্য বলে জানবে, কখনও সেই আদর্শ থেকে সরে এস না।" তাই তো পরবর্তীতে আমরা পেলাম - "সত্যের জন্যে সব কিছু ত্যাগ করা যায়, কিন্তু কোনও কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা যায় না।"

এরকম উদাহরণ আরও অনেক আছে, একবার নেতাজি সুভাষ বসু তাঁর 'মা' শ্রীমতী প্রভাবতী দেবীকে কে চিঠি লিখছেন - "তোমরা আমার কাছে কি চাও মা? তোমরা কি চাও আমি লেখাপড়া শিখে ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হই। আমার অনেক টাকা, বাড়ি-গাড়ি হোক। নাকি এই চাও- আমি পৃথিবীর সবথেকে গরীব হব। কিন্তু এমন মানুষ হব, যেন শ্রদ্ধায় পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ মাথা নিচু করে।"

না আমি শুদু মা কে দোষ দিচ্ছি না, একজন সন্তান কে ঠিক মানসিকতায় বড় করার দায়িত্ব একজন বাবার, সর্বোপরি পরিবারেরও আছে। কিন্তু মায়েদের দায়িত্ব সর্বাধিক, একজন শিশু বেড়ে ওঠে সর্বপ্রথম মায়ের ব্যাক্তিত্তের ছায়ায়, তাহলে? আজকাল কজন বাবা মা আছেন যারা সৎ সাহস নিয়ে আমাদের সন্তানদের এই রুপ উৎসাহ দিতে পারি? আমরা তো শুদু বলি- শুধু পড়, ভালো রেজাল্ট করো, আর টাকা রোজগার করার একটা মেশিন হয়ে ওঠো। জীবনে শুদু সাকসেসফুল হতে হবে সেটা যে কোনও উপায়েই হোক না কেন? ছোটবেলা থেকে একটি শিশু কে শেখানো হয় কিভাবে সে ক্লাসে প্রথম হতে পারবে, কিভাবে তাঁর সেকশনের ফাস্ট ছেলে বা মেয়েটিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারবে। প্রয়োজনে কিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যে কথা বলতে হবে, আর অবশ্যই নিজেকে এগিয়ে রাখার জন্যে মিথ্যে কথা বলায় কোনও দোষ নেই এটাও তাঁকে বুঝিয়ে দিতে হবে। তবেই না ইঁদুর দৌড়ে প্রথম হতে পারবে আপনার আমার ঘরের ছেলে বা মেয়েটি। ছোট্ট শিশুর কোমল অন্তরে এই 'বিষ-বৃক্ষ' আমরাই লাগিয়ে দিই, তাই আমরাই দায়ী। 

পথে ঘাটে, অফিসের পার্টিতে, কিটি পার্টি আরও কতসব সামাজিক থুড়ি সোশ্যাল অনুষ্ঠানে বুক বাজিয়ে বলব – আমার ছেলের বা মেয়ের ঠিক বাংলাটা আসেনা বুঝলি? আসলে ছোট থেকে কনভেন্টে পড়াশুনা করেছে তো? কত টেক স্যাভি আমার ছেলেটা, এখনই নেট ফেত গুলে খেয়েছে, এইতো কদিন আগেই একটা আই প্যাড কিনে দিলাম। গ্যাজেটের মেলা চারিদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অবাধ যাতায়াত অথচও বাড়ীর র‍্যাকে সাজিয়ে রাখা তাঁরাশঙ্কর, মানিক কিংবা শরদিন্দু বন্ধপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ছুঁয়েও দেখেনি। আসলে ওইগুলো ঘরসজ্জার অংশমাত্র, জীবনের নয়। জীবনে বরং অনেক দামী সোশ্যাল মিডিয়া, নানারকম গ্যাজেট, আইনক্স, মল, নামি দামী রেস্তুরা আরও কত কিছু। তাহলে এঁরা যখন আবেগহীন, ভালবাসাহীন, মনুষ্যত্বহীন, বিবেকহীন পশুর মতো ব্যাবহার করবে তখন বুক চাপরে কি লাভ? আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি জীবনে তথাকথিত সাকসেসফুল লাইফ পেতে গিয়ে নিজেদের সন্তানদেরও তুলে দিচ্ছি কোন জুড়ি গাড়িতে, যেটা গিয়ে থামবে শুধু সর্বনাশের স্টেশনে। 

শুনেছি বুদ্ধিমান দেখে শেখে আর বোকারা ঠেকে শেখে। কিন্তু আজকাল তো বেশিরভাগ মানুষ না দেখে শেখে না ঠেকে শেখে! চারপাশের অসহনীয় পরিস্থিতি দেখে ট্রেনে, বাসে গালাগালি, তর্কের তুফান তুলে কি লাভ? এটা কি বুঝেছি - ৪০লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে যে সন্তানের জন্যে মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে সীটের বাবস্থা করেছি, উঠতে বসতে যাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে তাঁর পিছনে কত ইনভেস্ত হয়েছে, সেতো বড় হয়ে তথাকথিত সফল হয়ে তাঁর পাওনাগণ্ডা পাই পইসায় বুঝে নেবে এতে আশ্চর্য কি আছে? আর সেই শিক্ষাই সে তাঁর উত্তরসুরিদেরও দিয়ে যাবে তাইনা? আগে নিজে যথার্থ মানুষ হই, নিজের পরিবারকে যথার্থ মানুষ হবার শিক্ষা দি, তারপর না হয় সমাজ, দেশ পরিবর্তনের শ্লোগান দেওয়া যাবে? আবারও বলছি রাজনৈতিক নেতা/ নেত্রী বা ডাক্তার, উকিল, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার প্রভৃতি পেশার মানুষ (অমানুষ?) কে গালাগাল না দিয়ে আসুন না নিজের সন্তানদের যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি। যাতে তাঁরা সবার আগে একজন ভালো মানুষ হয়, সো কলদ সাকসেসফুল অমানুষ হওয়ার থেকে। 
   
(আমার এই লেখা কারও ভাবাবেগে/ স্বার্থে আঘাত দেওয়ার জন্যে নয়, আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ, শিক্ষা-দীক্ষা, বুদ্ধিও অনেক কম, নিরেট মাথায় যতটুকু বুঝেছি লিখেছি মাত্র তাই দোষ ত্রুটি ও অধমের ধৃষ্টটা মার্জনীয়)